হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য করণীয় - হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা যা করবেন

এসির বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপ প্রবাহ। আর এই উচ্চ তাপমাত্রা অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে হিট স্ট্রোক এর মত শারীরিক জটিলতার। এই হিট স্ট্রোক কি? কেন হয়? এর লক্ষণ, হিট স্ট্রোক হলে কি করণীয়? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আমরা খোঁজার চেষ্টা করব এই প্রবন্ধে।
আপনি যদি এ বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতে চান তাহলে এই প্রবন্ধটি অবশ্যই আপনার জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক হিট স্ট্রোক সম্পর্কিত সকল বিষয়বস্তু নিয়ে।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে দেশের তাপমাত্রা হু হু করে বেড়েই চলেছে। আর এই তাপ প্রবাহের কারণে যে তীব্র গরম দেখা দিচ্ছে তা ইতিমধ্যেই আমাদের সকলকেই অস্বস্তিকর অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তীব্র গরম কিংবা উচ্চ তাপমাত্রা ফলে যে শারীরিক জটিলতাটি সবথেকে বেশি ক্ষতিকর কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ তা হল হিট স্ট্রোক। আতপাঘাত কিংবা ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোক হলো একটি গুরুতর তাপ জনিত অসুস্থতা যা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ একটি পরিস্থিতি। 
ইতিমধ্যেই প্রচন্ড গরমের কারণে দেশের অনেক স্থানে হিট স্ট্রোকের কারণে কয়েকজন মানুষের মৃত্যুর খবর পর্যন্ত শোনা গেছে। এই তীব্র গরমের সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে শারীরিক নানা ধরনের জটিলতার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

হিট স্ট্রোক কি? কেন ও কিভাবে হয়?

হিট স্ট্রোক হচ্ছে মূলত দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া এক প্রকারের শারীরিক জটিলতা এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায় এবং শরীর নিজে থেকে এই তাপ ছাড়াতে পারে না। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শরীরের তাপমাত্রা অত্যাধিক গরমের ফলে যখন ১০৫ ডিগ্রি অতিক্রম করে ফেলে তখন হিট স্ট্রোক হয়। হিট স্ট্রোক একপ্রকার মেডিকেল ইমার্জেন্সিও বটে যদি সাথে সাথে রোগীকে এর চিকিৎসা দেওয়া না হয় তাহলে রোগীর মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনাও থাকে। শরীরের তাপমাত্রা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া মূলত হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রধান লক্ষণ।

আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি সেন্টার রয়েছে যাকে বলা হয় থার্মো রেগুলেটরি সেন্টার। কোন কারনে যদি এই থার্মো রেগুলেটরি সেন্টার তার ফাংশন বন্ধ করে দেয় কিংবা এর কার্যক্ষমতা যদি কোনো কারণে কমে যায় তাহলে বিপাক এর ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রার সৃষ্টি হয় এবং এই তাপমাত্রা মূলত শরীরের বাহ্যিক পরিবেশে বের হতে পারে না আর এই কারণেই শরীরের তাপমাত্রা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের শরীরের সাধারণ বিপাকীয় প্রক্রিয়া গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
যেহেতু আমাদের শরীরটি সম্পূর্ণ পরিচালিত হয় এই বিভিন্ন ধরনের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেহেতু বিপাক ক্রিয়া যখন একেবারেই থমকে দাঁড়ায় তখন আমাদের শরীর এর অঙ্গগুলো আস্তে আস্তে কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং এর ফলে হিট স্ট্রোক হয় যার সাথে সাথে মাল্টি অর্গান ফেলিয়ার এর কারণে মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনাও থাকে।
হিট স্ট্রোক হওয়ার আরো কিছু কারণ গুলো হলঃ
  • পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় প্রচুর পরিমাণে লবণ ও তরল বেরিয়ে যায় যার যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • পারিপার্শ্বিক উচ্চ তাপমাত্রা কিংবা অতিরিক্ত গরম পরিবেশ হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। তীব্র গরমে রোদে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
  • diuretics, anticholinergics, এবং beta-blockers, এর মত ওষুধ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে অনেকাংশের প্রভাবিত করে এবং এর ফলে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • যে সকল মানুষ হার্ট কিংবা স্কিন সম্পর্কিত অসুখে আগে থেকেই ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে।
  • মদ্যপান ,মাদক সেবন, ইত্যাদি হিট স্ট্রোক এই ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।
  • অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্থুলতা হিট স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তিগণ এর বয়স ৬৫ বছরের অধিক তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী। এদের ক্ষেত্রেও হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ সাধানতা অবলম্বন করা উচিত
  • যে সকল ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রেও হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি তাই একে হেলাফেলা করার প্রশ্ন ওঠেনা। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সতর্কতা অবলম্বনের কোন বিকল্প নেই। যার জন্য আমাদের এর লক্ষণ সম্পর্কে আগে জানতে হবে তাহলে আমরা কেউ হিট স্ট্রোক করেছে বলে মনে হলে তাকে দ্রুত সেবা দিতে পারব। তরুন জেনে নেওয়া যাক এ লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
  • তীব্র মাথা ব্যথা হওয়া
  • শরীর গরম এবং লাল হয়ে যাওয়া কিন্তু শরীর থেকে ঘাম না বের হওয়া।
  • নিঃশ্বাস দ্রুত হওয়া
  • মাথা ঝিমঝিম করা
  • পেশি ব্যথা
  • চরম দুর্বলতা অনুভব করা 
  • বমি বমি ভাব
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন
  • হাইপার ভেন্টিলেশন
  • কথাবার্তায় অসংলগ্ন হওয়া
  • ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার বহিঃপ্রকাশ
  • প্রস্রাব এর পরিমাণ কমে যাওয়া
  • মাথা ঝিমঝিম করা
  • হাত-পা কাঁপা এবং শরীরের ক্র্যাম্প আশা
  • কথা জড়িয়ে যাওয়া
  • গাঢ় রঙের প্রস্রাব
  • ফ্যাকাশে চামড়া
  • দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য করণীয়

  • বেশি পরিমাণে পানি পান করাঃ হিট স্ট্রোক এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো বডি ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়া অর্থাৎ শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেওয়া। সেক্ষেত্রে শরীরে যেন পানি শূন্যতা না দেখা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সারাদিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পানি পান করতে হবে পানি শূন্যতা এড়ানোর জন্য। এক্ষেত্রে স্লাইন এবং এর সাথে ফলের রস ও পান করতে পারেন।
  • ঢিলেঢালা ও হালকা কাপড় পড়াঃ শরীর একদম চেপে ধরে এরকম কাপড় কিংবা অনেক গরম লাগে এরকম কাপড় পড়া বাদ দিতে হবে পরনের কাপড় হতে হবে ঢিলেঢালা এবং এর ফেব্রিক যেন হয় হালকা যাতে করে গরম কম লাগে। এক্ষেত্রে হালকা রঙের সুতি কাপড় সব থেকে বেশি ভালো।
  • মৌসুমী ফলঃ মৌসুমী ফল এবং সবুজ শাকসবজি নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • অতিরিক্ত তাপের বাইরে বের না হওয়াঃ রোদের উত্তাপ যে সময় বেশি দেখা যায় চেষ্টা করুন সে সময় বাসা থেকে অপ্রয়োজনীয় কারণে বের না হওয়ার।
  • তেঁতুলঃ তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি পেটে নানা ধরনের সমস্যা দূর করে থাকে। গরমে এই শরবত খাওয়ার আরো ও নানান উপকারিতা রয়েছে।
  • অতিরিক্ত আবরণঃ বাসার বাইরে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস, টুপি এর ব্যবহার করুন।
  • রিচার্জেবল ফ্যানঃ বর্তমান বাজারে রিচার্জেবল ছোট আকারের হ্যান্ডি ফ্যান পাওয়া যায় যাদের অতিরিক্ত গরম লাগে কিংবা উচ্চ রক্তচাপের ভুক্তভোগীরা এ ধরনের ফ্যানগুলো নিজের সাথে রাখতে পারেন।
  • অ্যালোভেরা শরবতঃ উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিজেকে বাঁচাতে অ্যালোভেরা শরবতের কোন বিকল্প হয় না। এই তীব্র গরমে দৈনিক এক গ্লাস করে অ্যালোভেরা শরবত পান করলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
  • তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহারঃ বেশি পরিমাণে ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার কিংবা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য না খাওয়াই ভালো এতে শরীরে বেশি তাপ জমা হয়।
  • চা কফি ও অ্যালকোহলঃ গরম চা কফি এবং সাথে অ্যালকোহল এই তীব্র গরমে বর্জন করা উচিত।
  • কাঁচা আমের জুসঃ গরমে কাঁচা আমের জুস অত্যন্ত উপকারী এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং এর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে যার কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে।
  • ডাবের পানিঃ ডাবের পানি এর গুনাগুন সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই অবগত। অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে ডাবের পানি পান করুন আপনি সতেজ অনুভব করবেন।
  • ধনিয়া ও পুদিনাঃ এই ধরনের উচ্চ তাপমাত্রায় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ধনিয়া ও পুদিনার শরবত উপযুক্ত একটি পানীয়। এটি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং গরমের হাত থেকে শরীরকে অনেকাংশে রক্ষা করে।
  • মাঠাঃ প্রোবায়োটিকস এর অন্যতম ভালো উৎস মাঠা। শরীরের পানি স্বল্পতা দূরীকরণে এটি অনেক বেশি কার্যকর।

যে সকল মানুষদের হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেশি রয়েছে

  • একজন ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীর হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেশি থাকে। মূলত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পানি খুব দ্রুত পরিমাণে কমে যেতে পারে যার ফলে ডায়াবেটিসে ভুক্তভোগীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
  • যে সকল মানুষ নিয়মিত এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিষণ্ণতা কিংবা মানসিক রোগের ওষুধ সেবন করে আসছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই যুগে বিদ্যমান।
  • সাধারণত বয়সের সাথে সাথে হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকিটাও বাড়তে থাকে। ২০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ২.৭ শতাংশ মানুষের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনার মাত্রা দাঁড়ায় ৬ শতাংশে‌। অপরদিকে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ ভাগ মানুষের হিট স্ট্রোক করার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • যাদের শরীরে চর্বির মাত্রা বেশি, স্থূলতা রয়েছে, অথবা রক্তনালী ব্লক থাকার মতো শারীরিক পরিস্থিতি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • শিশুদের মধ্যে এই ঝুঁকি বেশি দেখা যায় কারণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক শরীরের সাথে তার শরীর তুলনা করলে দেখা যাবে একটি শিশুর শরীরের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম থাকে।
  • হার্ট কিংবা স্কিন সম্পর্কিত অসুখে আগে থেকেই ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে।
  • মদ্যপান ,মাদক সেবন, ইত্যাদি হিট স্ট্রোক এই ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।

হিট স্ট্রোক হলে করণীয়

আপনাকে যদি কোন সময় এমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয় যেখানে কেউ হিট স্ট্রোক এর শিকার হয়েছে বলে মনে করছেন তাহলে অবশ্যই সতর্কতার সাথে নিম্নলিখিত কৌশল গুলো অবলম্বন করতে হবে।
  • সর্বপ্রথম ভুক্তভোগী মানুষকে একটি ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে যান।
  • তাকে ভালোভাবে শুয়ে দিন এবং পা দুটো সামান্য উপরে তুলে ধরুন।
  • ঠান্ডা পানি, ডাবের পানি, কিংবা ফলের জুস খাওয়ানোর দ্রুত ব্যবস্থা করুন।
  • তার শরীরের ত্বক ঠান্ডা রাখার জন্য তৎক্ষণাৎ বরফের ব্যবস্থা করা উচিত। বরফ না থাকলে পানি ছিটিয়েও তার শরীর ঠান্ডা করতে পারেন।
  • আশেপাশে যেন ভিড় না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস এর প্রয়োজন হবে।
  • ঘাড়ে এবং বগলের নিচে কিংবা মাথাতে বরফের প্যাকেট রেখেও শরীর ঠান্ডা করতে পারেন।।
  • প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি অতি দ্রুত রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগী যদি আধা ঘন্টার ভিতরে স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে এবং তখন জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া কিংবা তাদের সাথে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়।
  • সর্বোপরি সর্তকতার সাথে ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পদক্ষেপ নিবেন।

আমাদের শেষ কথা

প্রতিবছর গরমের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে।যার অন্যতম কারণ এই হিট স্ট্রোক আর এই বছরের তাপমাত্রার পরিমাণ অন্যান্য বছর থেকে অনেক বেশি। যার কারণে সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। এই সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যারাই সম্পর্কে জানে না তাদের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এর পাশাপাশি নিজেও নিজের শরীরের বিষয়ে এবং এর সাথে নিজের পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয় মনোযোগী হতে হবে যাতে করে কেউ এই ধরনের পরিস্থিতির ভুক্তভোগী না হয়। 

আর পরিস্থিতির শিকার হয়ে যদি কেউ কোন ভাবে হিট স্ট্রোক এর শিকার হয় তবে উপরোক্ত উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী সর্তকতার সাথে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সতর্ক থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url